উপকূল জুড়ে বৃষ্টি, পূর্ণিমার জোঁ আর বঙ্গোপসাগরে নিম্মচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় এলাকা পানিতে থৈ থৈ করছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা পযন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৪.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস। পায়রা বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাগরে মাছ ধরার ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলায় সহ¯্রাধিক ট্রলার মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর-ঢোস, মৌডুবি, রাঙ্গাবালীসহ স্ব-স্ব ঘাটে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছছে।
ঊচ্চ জোয়ারে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ২-৩ ফুট পানিতে দফায় দফায় প্লাবিত হচ্ছে অর্ধশত চর ও নিম্নাঞ্চল। জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রামে। অব্যাহত বৃষ্টি আর উচ্চ জোয়ারে তেঁতুলিয়া-বৃড়াগৌরাঙ্গ নদীর রক্ষাবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া দশমিনা, রনগোপালদী,আলীপুরা ইউনিয়নের একাধিক গ্রামসহ চরবোরহান ইউনিয়ান তলিয়ে গেছে আমনের ক্ষেতসহ বহু রাস্তাঘাট ঘর-বাড়ী, পুকুর ও মাছের ঘের। এতে ভোগান্তিতে পরেছে খেটে খাওয়া মানুষ।
খেপুপাড়া রাডার স্টেশন উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. ফিরোজ কিবরিয়া জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া এ দিন সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৪.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে
Post a Comment