আজকাল বার্তা ডেক্স---
বৃহস্পতিবার থেকে বঙ্গোপসাগরে শুরু হয়েছে ঝোড়ো বাতাস। আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে সাগর।
৩ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
বরিশাল বিভাগে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আরও বেড়েছে। শুক্রবার বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার ৭টি নদী পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার দ্বারপ্রান্তে প্রবাহিত হয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাউড্রোগ্রাফি বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুক্রবার ভোলার তজুমুদ্দিনে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ভোলা খেয়াঘাট পয়েন্টে তেতুলিয় নদীর পানি ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরিশালের হিজলা পয়েন্টে ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বিষখালী নদীর পানি যথাক্রমে ঝালকাঠী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনার বেতাগী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও পাথঘাটা পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পিরোজপুরে বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং কঁচা নদীর পানি উমেদপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এদিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ পয়েন্টে বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও বগুনার আমতলী পয়েন্টে এই দুই নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বরিশালের বাকেরগঞ্জে বুড়িশ্বর নদীর পানি ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বরগুনায় বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং কীর্তনখোলা নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে।পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভোলার দৌলতখান পয়েন্টে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি আগের দিনের চেয়ে অনেক কমে বিপৎসীমার (২.৭৫ মিটার) ৬৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই দুই নদীর পানি দৌলতখান পয়েন্টে প্রবাহিত হয়েছে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে। এছাড়া অন্যান্য সকল নদীর পানি আগের দিনের চেয়ে শুক্রবার অনেক বেড়েছে।
Post a Comment