বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ
ভোলা বোরহানউদ্দিন দেউলা ইউনিয়নে মজম বাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্বরত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপ-সহকারী (স্যাকমো) মো: আলামিন খন্দকার অফিস চলাকালিন সময় রোগি দেখার সময় জোর পূর্বক ১শত থেকে ২শত টাকা করে হাতিয়ে নেয়া এবং অফিসে রোগি না দেখে বিকালে মজম বাজারে তার ব্যক্তিগত চেম্বারে আসতে অনেক রোগিকে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া এ উপ-সহকারীর বিরুদ্ধে এক মেয়ের ইজ্জত হননের চেষ্টার অভিযোগে গত প্রায় ২/৩ মাস পূর্বে দেউলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো: পারভেজ এর হাতে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার ছাড়াও একাধিক নারী কেলেংকারী অভিযোগ পাওয়া গেছে আলামিন খন্দকার এর বিরুদ্ধে। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য সেবা কে মানুষের দৌড় গৌড়ায় পৌছানোর জন্য অক্লান্ত কাজ করছে এবং বিনামূল্যে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। কিন্তু কিছু অসাধু ও অর্থলোভীদের জন্য সঠিক স্বাস্থ্য সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার লোকজন। এ ব্যাপারে সচেতন মহল তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোড়ালো দাবী জানান সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে।
দেউলা ৪নং ওয়ার্ডের ইয়াছমিন অফিস চলাকালিন সময় দেখাতে গেলে তার কাছ থেকে ১শত টাকা, দেউলা ৭নং ওয়ার্ডের মাকসুদা বেগম অফিস চলাকালিন সময় দেখাতে গেলে তার কাছ থেকে ২শত টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরকম বিস্তর অভিযোগ রয়েছে আলামিন খন্দকার এর বিরুদ্ধে। শুধু অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ নয় তার বিরুদ্ধে রয়েছে নারী গঠিত কেলেংকারীর ঘটনা। গত ২/৩ মাস পূর্বে দেউলা ইউনিয়নের জনৈক ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী’র সাথে অপকর্ম করার অপরাধে দেউলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো: পারভেজ এর হাতে লাঞ্চিত হন এ আলামিন। ছাত্রী’র পরিবার মেয়ে এবং নিজেদের ইজ্জ্বতের ভয়ে কোন অভিযোগ করে নি। এতেও তিনি ক্ষান্ত হন নি। সুযোগ বুঝে একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছে। ঠিকমত অফিসে না বসে মজম বাজারে তার ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগিদের আসতে বাধ্য করেন এবং সুন্দরী মেয়েরা চিকিৎসার জন্য তার কাছে অফিসে আসলে নানা অজুহাতে ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রেখে আড্ডায় মেতে উঠতে চায়। এভাবেই চলছে তার অফিস কার্যক্রম। রাতের বেলায় জরুরী রোগি আসলে তিনি না কি সমস্যা আছে বলে রাতে রোগি ক্লিনিকে ঢুকতে দেয় না। রাতে ক্লিনিকে তিনি কি সমস্যায় থাকেন যে কোন রোগি ক্লিনিকে ঢুকলে তার সমস্যা হয়? গত ২/৩ দিন পূর্বে জনৈক এক রোগি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে রাতে তাকে ফোন দিলে রাতে তার সমস্যা আছে তাই তিনি না কি ওই রোগিকে সকালে আসতে বলেন। এছাড়া ওই ক্লিনিকে রাকিব নামের এক শিক্ষার্থী একটি রুমে দীর্ঘ দিন থেকে পড়াশুনা করতো। কিন্তু রাতে আলামিন খন্দকারের নানা নারী গঠিত অপকর্ম দেখে ফেলায় তাকেও না কি ওই ক্লিনিকের রুম থেকে বের করে দেন।সরজমিনে গিয়ে দেখা মিলে আলামিন এর ব্যক্তিগত চেম্বারে আসা রোগী নাজমা বেগম ৪ বছরের বাচ্চা নিয়ে তাকে দেখাতে আসেন, তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ডাক্তার আলামিন বলছে বিকালে চেম্বারে আসলে ভালো ভাবে দেখে ওষাধ দিয়ে দিবেন। দেখা মিলে বাগাবাড়ি থেকে আসা রোগী লাকী আক্তার এর সাথে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা বাধ্য হয়েই তাকে বিকালে চেম্বারে দেখাতে আসি। এছাড়া সেখানে উপস্থিত জনতার মধ্যে শামিম নামের এক ব্যক্তি আলামিন খন্দকারের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেংকারীর অভিযোগ সহ তাকে ওই ইউনিয়ন ক্লিনিক হতে অপসারনের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবং তার উপস্থিত আরও অভিযোগ করেন সে একজন স্বাস্থ্য কর্মী হয়েও নিজেকে সরকারী বড় ডা: পরিচয় দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারনা করে আসছে।
এসকল অভিযোগের ব্যাপারে দেউলা ইউনিয়ন উপ-সহকারী (স্যাকমো) মো: আলামিন খন্দকারের কাছে সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ডাক্তার না ঠিক কিন্তু বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সকল স্যাকমোই ডাক্তার লেখে প্রাইভেট প্রাকটিস করে তাই আমিও পেডে ডাক্তার লিখেছি। এছাড়া অফিস চলাকালিন সময় ক্লিনিকে বসে রোগিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া ও মেয়ে কেলেংকারীর কথা জিজ্ঞেস করাতে সে চেম্বার থেকে উঠে আসি বলে সটকে পড়েন।
ভোলা পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, কেউ কোন অপরাধ করলে কোন ছাড় পাবে না। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Post a Comment