আজকাল বার্তা ডেক্স---
ডায়াবেটিস নাই এমন কম মানুষই আছে। বাংলাদেশের মানুষের প্রচুর পরিমানে ডায়াবেটিস রোগ দেখা দিচ্ছে। তাই এ রোগের কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্দতি অনুসরন করছে অনেকে।
যেহেতু ডায়াবেটিস রোগটি একবার হলে আর সারে না তাই সুস্থ থাকার জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি।
ঘরোয়া কিছু উপাদান আছে যেগুলো গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে কিছুটা বা অনেকখানি সহয়তা করে।
আর এই ঘরোয়া উপাদানগুলোর মধ্যে অধিকাংশই আমরা আমাদের কিচেন থেকে অর্থাৎ খুব সহজে পেতে পারি।
নিচে কিছু হোম রেমেডিস উল্লেখ করা হল। যেটি আপনার কাছে সহজ মনে হয় সেটি করুন। পাশাপাশি প্রতিদিন ৩০-৪৫ মিনিট সকাল-সন্ধ্যায় হাঁটলে সুগার নিয়ন্ত্রণ এবং সুস্থতা দুটিই অর্জিত হবে।
মেথি গুড়া
১ চা চামচ মেথি গুড়া, ১ গ্লাস গরম পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে হবে। মেথি পানি,রক্ত এবং ইউরিনের সুগার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
আমলকি
২ চা চামচ আমলার রস ১ বা আধা গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। চাইলে প্রতিদিন ২-৩টা গোটা আমলকিও খেতে পারেন।
সজিনার পাতা
একমুঠো কচি সজিনার পাতা জুস করে অথবা ১-২ চা চামচ সজিনা পাতার পাউডার পানিতে মিশিয়ে খেলেও সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
দারুচিনি গুড়া
সারাদিনে ১ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া খেলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। চায়ে চিনির পরিবর্তে দারুচিনি গুড়া নেয়া যেতে পারে অথবা পানিতে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে।
করলার রস
প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ করলার রস খেলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে, এটি হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ফলাফল দেবে না, তবে নিশ্চিতভাবে ধীরে ধীরে তীব্রটা কমাতে সহায়তা করবে।
আম পাতা
সুগার নিয়ন্ত্রণে আম পাতা খুব কার্যকর। ১০-১৫টি আমপাতা ১ গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে নিন এবং সারারাত মিশ্রণটি রেখে দিন এবং পরদিন সকালে শুধু পানিটুকু খান।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা জেলে ফাইটোস্ট্যারলস নামক শক্তিশালী উপাদান থাকে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ফাইটোস্ট্যারলসের অ্যান্টিহাইপার গ্লাইসেমিক প্রভাব আছে যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য উপকারী।
হলুদ, তেজপাতা ও অ্যালোভেরা জেল পানির সাথে মিশিয়ে দিনে দুবার পান করুন।
জামরুল
এই ফলটিতে Jamboline নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ আছে যা শর্করাকে চিনিতে রূপান্তরিত হতে বাধা দিয়ে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সুতরাং জামরুল খাবেন।
জামের বীচি
জামের শুকনো বীচির গুড়া ১ গ্রাম করে সকালে, দুপুরে ও রাতে খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে গ্রহণ করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, ১. জামের বীচি অভুক্ত অবস্থায় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়, ২.মাংসপেশির কোষে গ্লুকোজ গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় ও গ্লুকোজ থেকে গ্লাইকোজেনে পরিণত হওয়া তরান্বিত করে এবং ৩. রক্তে চর্বির মাত্রা কমায়।
হোম রেমেডিস এর ক্ষেত্রে সাবধানতা
মাত্রাতিরিক্ত বা অন্যান্য ডায়াবেটিসের ওষুধের সঙ্গে খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত কমে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। কাজেই এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
Post a Comment