সংবাদ শিরোনাম

বাবুগঞ্জে সরকারি কর্মচারীসহ ২ জনের কারাদন্ড

 বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি ॥
বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ ফেরি ও খেয়াঘাটে অভিযান চালিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে বরিশাল জেলা পরিষদের কেয়ারটেকারসহ ২ জনকে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। দন্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- মীরগঞ্জ খেয়াঘাটের জেলা পরিষদের খাস কালেকশনের দায়িত্বে থাকা কেয়ারটেকার ওয়াহিদুজ্জামান ও ফেরিঘাটের টোল আদায়কারী রিয়াজুল ইসলাম। বাবুগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজিত হাওলাদারের ভ্রাম্যমান আদালত শনিবার দুপুরে উপজেলার মীরগঞ্জ ফেরিঘাট ও খেয়াঘাটে পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে খেয়াঘাটে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায়কালে হাতেনাতে আটক জেলা পরিষদের কেয়ারটেকার ওয়াহিদুজ্জামানকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ফেরিঘাটের টোল আদায়কারী রিয়াজুল ইসলামকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। সাজাপ্রাপ্তদের বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ইউএনও সুজিত হাওলাদার জানান, বরিশাল জেলা পরিষদের অধীনে থাকা বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জ খেয়াঘাটে সরকারি খাস কালেকশনের নামে জনপ্রতি ৭ টাকার ভাড়া ১০ টাকা এবং মোটরসাইকেল ১৬ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা আদায় করছিল জেলা পরিষদের কেয়ারটেকার ওয়াদুজ্জামান। এছাড়াও ফেরিঘাটের ইজারাদারের পক্ষে টোল আদায়কারী রিয়াজুল ইসলাম ফেরিতে রিজার্ভ পারাপারের নামে একটি প্রাইভেট কার থেকে নির্ধারিত ১০০ টাকা ভাড়ার পরিবর্তে ১ হাজার ৬০০ টাকা আদায় করেছিল। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। উল্লেখ্য, মীরগঞ্জ ফেরি ও খেয়াঘাটে চলাচলকারী ৩ উপজেলার ৫ লক্ষাধিক যাত্রীদের হয়রানি এবং জিম্মি করে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ঠিকাদারদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিদিন মুলাদী, হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার হাজার হাজার মানুষদের কাছ থেকে জেলা পরিষদের নির্ধারিত ভাড়া চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছিল। অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে এমনকি তাকে মারপিট ও লাঞ্ছিত করা হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে খেয়াঘাটে সরকারি সম্ভাব্য মূল্যে দরদাতা না পাওয়ায় বাংলা ১৪২৬ সালের ইজারা না দিয়ে পহেলা বৈশাখ থেকে খাস কালেকশন শুরু করে বরিশাল জেলা পরিষদ। তবে ‘যে লঙ্কা যায় সেই হনুমান হয়’ প্রবাদবাক্যের মতোই ঠিকাদারের লোকজনের জোগসাজসে সরকারি খাস কালেকশনেও অনিয়ম শুরু করে জেলা পরিষদের কর্মচারীরা। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে মীরগঞ্জ ফেরি ও খেয়াঘাটে ওই অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। #  

Post a Comment

Previous Post Next Post