প্রকৃতির কিছু কিছু রহস্য যেমন আমাদের অবাক করে দেয়, তেমনিভাবে কিছু কিছু সৌন্দর্যও আমাদের বিস্মিত করে তোলে।ফুলকে আমরা সৌন্দর্যের প্রতীক বলে জানলেও পৃথিবীতে এমন কিছু ফুল আছে, যাদের দেখে মুগ্ধ হওয়ার পাশাপাশি রীতিমতো বিস্মিত হতে হয়!
বানরমুখো : ফুলের নামটা প্রথম শুনে থাকলে যে কেউ চমকে যেতে বাধ্য। বানরের স্থান হল বনে-জঙ্গলে, গাছের মগডালে। কিন্তু সেই বানর যদি অবস্থান নেয় অর্কিড জাতীয় ফুলে, তাহলে তো চমকে যাবারই কথা। পেরুর পাহাড়ি জঙ্গলে এমন এক অর্কিড জাতীয় ফুল পাওয়া গেছে যার মুখ দেখতে হুবহু বানরের মতো।
ফুলটির নামও রাখা রয়েছে তার গঠন অনুসারে- ‘মানকি অর্কিড’ বা ‘বানরমুখো অর্কিড’। এই অর্কিড সারা বছরই জন্মাতে পারে।
এখন পর্যন্ত এর প্রায় ১২০ টি প্রাজাতি শনাক্ত করা হয়েছে।
নাচুনি: পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ও স্নিগ্ধ বস্তু হল ফুল। সেই ফুল যদি আবার নাচিয়ে বালিকার ভঙ্গিতে অবস্থান করে, তখন তা যে কারো নজর কেড়ে নিতে সক্ষম। অত্যন্ত দুষ্প্রাপ্য এই ফুলটির দেখা মেলে আফ্রিকার গহিন অরণ্যে। ফুলটির স্থানীয় নাম ড্যান্সিং গার্ল অর্কিড এবং বৈজ্ঞানিক নাম ‘Impatiens bequaertii’.
ফুলসহ নাচুনি অর্কিড গাছের দৈর্ঘ্য মাত্র দেড় ফুট। সাদা বা হালকা গোলাপি রঙের এই ফুলটির পাপড়িগুলো দুই পাশে ছড়ানো অবস্থায় থাকে। তাই একে দেখলে মনে হয় যেনো কোন তরুণী নাচের ভঙ্গিতে দাঁড়িতে আছে।
হাস্যমুখী এলিয়েন: চার্লস ডারউইন তাঁর দক্ষিণ আমেরিকায় সমুদ্রযাত্রার সময় আবিষ্কার করেন অদ্ভুত সুন্দর এই ফুলটি। তাঁর নামানুসারে ফুলটির নাম দেওয়া হয় ডারউইন’স স্লিপার ফ্লাওয়ার। ফুলটির বৈজ্ঞানিক নাম Calceolaria uniflora. ইংরেজিতে একে হ্যাপি এলিয়েন বা হাস্যমুখী এলিয়েন নামেও অভিহিত করা হয়।
শিলার উপর সারি সারি জন্ম নেওয়া এই ফুলগুলো দেখলে মনে হবে যেনো কমলা রঙের পেঙ্গুইন দল মার্চ করছে। ফুলটির গঠন দেখে মনে হবে একটি এলিয়েন
Post a Comment