মুহাম্মাদ আবু মুসা---
পোল্ট্রি খামারের অবৈধ বিদ্যুতের তারে প্রাণ গেলো যুবকের |
বগুড়ার গাবতলীতে শিয়াল-গাওরা মেরে ফেলার জন্য অবৈধভাবে পাতানো বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে প্রাণ গেলো সনজিব রাজভর (২৭) নামের এক যুবকের। গত শনিবার রাতে উপজেলার নাড়–য়ামালা ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। একাধিকসূত্র জানায়, উপজেলার নাড়–য়ামালা ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে মৃত আঃ রাজ্জাক মজনু মন্ডলের ছেলে ফেরদৌস ওয়াহিদ মামুন গত ৬/৭মাস আগে ওই গ্রামেই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি পোল্ট্রি খামার নির্মাণ করেন। খামার নির্মাণের পরে পার্শ্ববর্তী একটি সেচ পাম্পের মিটার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ওই খামারে বয়লার মুরগি লালন-পালন করা শুরু করেন। শিয়াল-গাওরা মেরে ফেলার জন্য কিছুদিন আগে খামারের চারপাশে বাঁশের খুঁটি পুঁতে জিয়া তার দিয়ে ঘেরাও করে অবৈধভাবে প্রতিদিন বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে আসছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় গত শনিবার রাতেও ওই পাতানো ফাঁদে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। এরপর রাতের কোন এক সময় ওই পোল্ট্রি খামারের কর্মচারী সনজিব রাজভর বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে মারা যান। মৃত সঞ্জিব গাবতলী পুরান বাজারের চুনিলাল রাজভরের ছেলে। পরদিন সকালে স্থানীয়রা তারে জড়ানো সনজিব কুমারকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় থানা পুলিশে সংবাদ দেয়। পরে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন। এদিকে মৃত সংবাদ পেয়ে গতকাল সকালে গাবতলী পুরান বাজার থেকে পাকা সড়ক দিয়ে জোরে দৌড়াতে গিয়ে সিএনজির ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হয় সনজিব রাজভরের আপন ছোটভাই বিশাল রাজভর (১৪)। এ ব্যাপারে থানার ওসি সেলিম হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বিদ্যুতের তারে জড়ানো লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এবিষয়ে এখনও কোন অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে গাবতলী পল্লী বিদ্যুত অফিসের ডিজিএম মাকসুদুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জীব-জন্তু কিংবা চোরদের মেরে ফেরার জন্য কোন খামারের চারপাশে বিদ্যুতায়িত করে রাখা ঠিক নয়-এটা রীতিমতো বেআইনী কাজ।