সংবাদ শিরোনাম

বরিশাল মিডিয়ায় এক কিংবদন্তি সাংবাদিক লিটন বাশার

 মামুন-অর-রশিদ--

বরিশাল মিডিয়ায় এক কিংবদন্তি সাংবাদিক লিটন বাশার। একজন মানুষ নিজেকে অন্যের কল্যাণে কতটা বিলাতে পারেন তার এক বিরল দৃষ্টান্ত তিনি। অগ্রজ, সহকর্মী, অনুজ সবার প্রয়োজনই তার কাছে ছিল মুখ্য। বিপদে, অসুস্থতায় কিংবা দুর্দিনে এমন দরদী যেন মেলা ভার। শুধু তাই নয় অন্যান্য পেশার মানুষেরাও ছিল তার অন্ধভক্ত।
মাত্র ৪৬ বছর বয়সি এই মানুষটি যখন লাখো মানুষের নয়নের মনি এমন সময় কাউকে না বলেই হঠাৎ চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ২০১৭ সালের ২৭ জুন মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তিনি এক পুত্র ও স্ত্রীসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্খি গুনগ্রাহী রেখে গেছে গেছেন।
শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবে তার জীবনের সর্বশেষ নির্বাচনে তিনি সভাপতি পদে লড়ে মাত্র ১ ভোটে হেরে যান। সেই নির্বাচনে শুধু সাংবাদকিরাই নন, প্রায় সব শ্রেণি পেশার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি বলেছিলেন ‘এত ভালবাসা আমি কোথায় রাখি’।
সময়ের পরিক্রমায় লিটন বাশার হয়ে উঠেছিলেন সমাজের অনিয়ম অনাচার রুখে দিতে শোষিত বঞ্চিত অত্যাচারিতের পক্ষে প্রতিবাদী মানব। বরিশাল সাংবাদিকতায় নতুন দিগন্ত রচনার পথ ধরে হেঁটে ছিলেন । প্রখর লেখনী শক্তির অধিকারী এ মহান ব্যক্তি। সময়ের সাহসী কিবোর্ড যোদ্ধা। তিনি ইতিহাস ঐতিহ্যের বরিশালের মিডিয়া জঞ্জালমুক্ত করতে অসুর কিংবা দানবদের বিরূদ্ধে কঠিন থেকে কঠিন লড়াইয়ে অবতীর্ন হয়েছিলেন। মনস্তাতিক লড়াই। শুভ আর অশুভ শক্তির লড়াই। এমন লড়াইয়ে তার এই অকাল প্রয়াণে থেমে যায় কোটি প্রাণের স্পন্দন। নিঃস্বার্থ ভালবাসায় সিক্ত হওয়া শত শত অনুজ সহকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষেরা সেদিন নির্বাক নয়নে অশ্রুসিক্ত হয়, যেন তাদের স্বপ্নগুলো থমকে দাড়ায়। ভালবাসার এই হৃদয় বিদারক আকুতি থেকে একটি কথাই তাকে বলতে ইচ্ছে করে ‘এমন তো কথা ছিলনা’ ।

Post a Comment

Previous Post Next Post