যে কারণে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে সেই ‘নরকের দরজা’ (ভিডিও)

 


তুর্কমেনিস্তানের দরওয়াজা শহরে একটি প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র আছে, যা ‘নরকের দরজা’ নামে পরিচিত। অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে ধরে অগ্নিমুখটি অনবরত জ্বলছে বলে একে ‘নরকের দরজা’ বলা হয়। ১৯৭১ সাল থেকে জ্বলতে থাকা এই আগুন এবার নেভানোর নির্দেশ দিয়েছেন তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলি বেরদিমুখামেদভ।

 খবর বিবিসির।

জানা গেছে, দেশটির পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত কারণে গর্তের আগুন বন্ধ করতে চান প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলি বেরদিমুখামেদভ। একইসঙ্গে সেখান থেকে গ্যাস রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে তার। তাই প্রায় পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে জ্বলতে থাকা গর্তের আগুন নেভানোর জন্য একটি উপায় বের করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

কারাকুম মরুভূমির দারভাজা গর্তের সৃষ্টি নিয়ে নানা রহস্য ছড়িয়ে আছে। অনেকে মনে করেন, ১৯৭১ সালে সোভিয়েত খননের সময় এটি সৃষ্টি হয়। তবে ২০১৩ সালে কানাডার অনুসন্ধানকারী জর্জ কৌরোনিস গর্তের গভীরতা পরীক্ষা করেন। তিনি আবিষ্কার করেন, প্রকৃতপক্ষে কেউ জানে না কীভাবে এই গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।

১৯৭১ সালে তৎকালীন সোভিয়েন ইউনিয়ন প্রাকৃতিক গ্যাসসমৃদ্ধ দারওয়াজা এলাকায় অনুসন্ধানের সময় ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে। প্রথমে তারা মনে করেছিল এটি একটি তেল ক্ষেত্র তাই ড্রিলিং মেশিন দিয়ে তেল উত্তোলনের জন্য সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করবে। কিন্তু পরে তারা সেখান থেকে বিষাক্ত গ্যাস বের হতে দেখে। গ্যাস অনুসন্ধানের সময় অনুসন্ধানকারীরা গ্যাসবহুল গুহার মধ্যে মৃদু স্পর্শ করলে দুর্ঘটনাক্রমে মাটি ধসে পুরো ড্রিলিং রিগসহ পড়ে যায়। যদিও এই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

এই নরকের দরজা নিয়ে অনেক রকম রহস্য ও মিথ রয়েছে। স্থানীয় লোকেরা একে অনেকেই দৈবশক্তির প্রকাশ বলেও মনে করেন। আসলে এটি একটি এমন সিদ্ধান্ত যা ভুল না ঠিক তা আজ পর্যন্ত নির্ধারণ হয়নি।https://youtu.be/JkWq1xJqUQ4

Post a Comment

Previous Post Next Post