নিজস্ব প্রতিবেদক---
বিয়ে হচ্ছে একটি সামাজিক রিতী। আর ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ে করা ফরজ। প্রত্যেক নরনারীর উচিৎ বয়স হলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্দ হওয়া। ইসলামের দৃষ্টির বিয়ের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক । তারই ধারাবাহিক আলোচনা নিচে উল্লেখ করা হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন এবং সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠান হলো পরিবার। তাই আল্লাহ-প্রদত্ত প্রতিটি ধর্মব্যবস্থ্যায় পরিবারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অনেক বেশি। আজকের পৃথিবীতে এমন কোনো ধর্মের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে পরিবারের কথা গুরুত্বের সঙ্গে বলা নেই। আর এ উদ্দেশ্য সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য পরিবারের বিকল্প নেই। সত্য-সুন্দর আর সৎকর্মের পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য পরিবারের বিকল্প নেই অ্যারিস্টটলও সে কথা স্বীকার করেছেন। আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে পরিবারের স্পর্শে বেড়ে ওঠা মানুষ অনেক বেশি সুখী, মেধাবী এবং নৈতিক বোধসম্পন্ন হয়। শুধু তাই নয়, বহু জটিল রোগ ও মানসিক সমস্যার সহজ সমাধানের একমাত্র নাম পরিবার। পরিবার ছাড়া মানুষ অনেকটা পশুর মতো। অন্যভাবে বলতে গেলে পশু ও মানুষের মধ্যে একটি পার্থক্য হলো পশুর মধ্যে শক্তিশালী পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন নেই কিন্তু মানুষের মধ্যে আছে।রসুল (সা.) পারিবারিক সম্প্রীতির ব্যাপারে এত বেশি বলেছেন যে হাদিস ও ফিকহ শাস্ত্রে পরিবার নিয়ে আলাদা অধ্যায়, ভলিউমও রয়েছে। কোরআন পরিবার সম্পর্কে সংক্ষেপে বলেছে কিন্তু মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ কথা বাদ দেয়নি। সুরা নুরসহ বিভিন্ন সুরায় আল্লাহতায়ালা বলেছেন, সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের বিয়ে দেওয়াটা জরুরি। বিয়ের পর পারিবারিক বন্ধন এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত রাষ্ট্রীয়ভাবে দেখভালের কথা বলেছে কোরআন। সন্তান গর্ভধারণ, দুধপান, বাবা-মার সঙ্গে ব্যবহার, সন্তানের প্রতি কর্তব্য এবং খুব প্রয়োজন হলে বিচ্ছেদের নিয়ম-কানুন কী হবে তা বিস্তারিত বলেছে কোরআন। এই যে পরিবার নিয়ে ধর্ম বিশেষ করে কোরআন ও ইসলাম এত বেশি গুরুত্বারোপ করেছে, এতে আসলে লাভ কার? আল্লাহতায়ালার? নবীজির? না। লাভ পুরোটাই মানুষের। কিছু মানুষের ধারণা, জীবনের ব্যাপারে তারা পুরোপুরি স্বাধীন। কোনো বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করার ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তাই তারা অনুভব করে না। তারা ধর্ম এবং স্রষ্টাকে পর্যন্ত অস্বীকার করে। আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন।
লেখক : খতিব, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সেন্টার জামে মসজিদ, ঢাকা।
Post a Comment