রহিম রেজা, ঝালকাঠি---
আশা এনজিও |
ঝালকাঠির রাজাপুরের গালুয়া বাজারের বেসরকারি সংগঠন আশা ব্রাঞ্চের (এনজিও) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সঞ্চয় টাকা ফেরৎ চাওয়ার জেরে ব্যবসায়ী জামাল হাওলাদারকে মারধর ও তার স্ত্রী নুপুর বেগমকে শ্লীলতাহানি এবং তাদের ৬ বছরের শিশু জোবায়ের আহম্মদকে আহত করার অভিযোগ আদালতে মামলা করেছেন। বুধবার সকালে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে এসে ব্যবসায়ী জামাল হাওলাদার এ অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় গত ৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জামাল হাওলাদার বাদি হয়ে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আতাউর রহমান ও সহকারী ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা (সূত্র:-এম/পি ৯৬/১৮ রাজা) দায়ের করেছেন। ব্যবসায়ী জামাল হাওলাদার মামলায় অভিযোগ করেছেন, গত ৩ ডিসেম্বর সোমবার বিকালে ঋণের টাকা পরিশোধ করে সঞ্চয়ের টাকা ফেরৎ চাইলে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আতাউর রহমান ও সহকারী ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আরিফুর রহমান তাকে মারধর করে, তার স্ত্রী নুপুর বেগমকে শ্লীলতাহানী করে ও সাথে থাকা ৬ বছরের শিশু জোবায়ের আহম্মদকে আহত করেছে। নুপুর বেগম তার স্বামী জামাল হাওলাদারকে নোমিনী করে গালুয়া বাজারের বেসরকারী সংগঠন আশা ব্রাঞ্চে প্রতি মাসে ৩শ’ টাকা করে সঞ্চয় করতে ১০ বছরের সঞ্চয়ের চুক্তিপত্র হিসাব খোলেন এবং অফিসের রেজিষ্টারে ২১ নং ক্রমিক সংখ্যা দিয়ে সুরভী নামক দলে অন্তর্ভক্ত করে ২০১৬ সালের ২০ জুলাই সদস্য পদ প্রদান করা হয়। পরে তিন দফায় ওই ব্রাঞ্চ থেকে নুপুর বেগম ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহন করেন এবং নিয়মিত সঞ্চয় টাকা জমা দেন। ওই ঋণের টাকা বিভিন্ন কিস্তিতে পরিশোধ করেন। ৩ ডিসেম্বর সোমবার বিকালে জামাল হাওলাদার, তার স্ত্রী নুপুর বেগম ও দুটি সন্তান সাথে নিয়ে ওই ব্রাঞ্চে গিয়ে ঋণের সর্বশেষ পাওনা ৩৮ হাজার ৭৫০ টাকা পরিশোধ করেন এবং সঞ্চয়ে রাখা ১১ হাজার ১৬৫ টাকা ফেরৎ চাইলে ওই ব্রাঞ্চের ম্যানেজার আতাউর রহমান ফেরৎ দিতে অস্বিকৃতি জানালে বাকবিতন্ডার এক পর্যায় জামাল হাওলাদারকে ম্যানেজার আতাউর রহমান ও সহকারী ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আরিফুর রহমান কিল, ঘুষি ও চড়থাপ্পর মারতে থাকেন। এসময় তার স্ত্রী নুপুর বেগম স্বামীকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তার শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে ধাক্কিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়। সময় ৬ বছরের শিশু জোবায়ের আহম্মেদ দরজার ধাক্কা লেগে দাতে রক্তাক্ত আঘাত পায়। এবিষয়ে এনজিও আশার গালুয়া ব্রাঞ্চের ম্যানেজার আতাউর রহমান অভিযোগ অস্বিকার জানান, জামাল হাওলাদার ৩ ডিসেম্বর নয়, ২ ডিসেম্বর রাতে অফিসে এসেছিলেন তখন তার সাথে তার ¯ী¿ ,সন্তান কেউ ছিলো না। তার ফুফাতো ভাই ছিলো। তার কাছে পাওনা ঋণের টাকা ওই দিন পরিশোধ করে সে জমা বইতে স্বাক্ষর না দিয়ে তার সঞ্চয়ের টাকা ফেরৎ নিয়ে গেছে। তার সাথে আমাদের কোন আর্থিক লেনদেন নেই। তখন সহকারী ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আরিফুর রহমান অফিসে ছিলেন না।
Post a Comment