গত ৪ জুন “আজকাল বার্তা” অনলাইনে ‘চরামদ্দিতে সালিশ বৈঠকে হামলায় কৃষকলীগ নেতা সহ গুরুতর আহত-৬’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উল্লেখিত সংবাদে অধিকাংশ তথ্যই ভিত্তিহীন ও মনগড়া। প্রকৃত ঘটনা হলো , গত ৩ জুন সন্ধ্যায় দুপক্ষের সালিশির এক পর্যায়ে স্বপন সিকদারের বড় ভাই মোজাম্মেল সিকদার উত্তেজিত হয়ে (আমি) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান (মাসুম) কে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে। এতে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির সৃষ্টি হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমি এবং আমার চাচা শামসুল হক সাবু উভয় পক্ষকে সামলানোর চেষ্টা করি। এতে আমরা দুজনও আহত হই। এরপর সবাই বাড়ি চলে গেলে আমি নিমতলার মসজিদে নামাজ আদায় করতে যাই। নামাজ শেষে আমি বের হতে চাইলে মাইনুল ইসলাম স্বপনের লোকজন আমার উপর হামলা করে। এসময় মসজিদের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আমাকে আগলে রেখে হামলার হাত থেকে রক্ষা করে। এরপর চরামদ্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব সাহাবুদ্দিন খোকনকে ফোন করলে তিনি বেশ কয়েকজন গন্যমাণ্য ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে এসে আমাকে মসজিদ থেকে উদ্ধার করেন। চেয়ারম্যান সাহেব দুপক্ষের সাথে কথা বলে আগামী ৭ জুন সালিশির তারিখ নির্ধারন করেন। অথচ এরপরেও একটি কুচক্রি মহল সাংবাদিক ভাইদের ভুল তথ্য দিয়ে আমার নামে কুরুচিপূর্ন সংবাদ প্রকাশ করায়। উল্লেখ্য, আমার পিতা মরহুম আবু মোঃ ফারুক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি তার গর্বিত সন্তান হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ নিমতলা জামে মসজিদের মুতাওয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। তাছাড়া সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় সাফল্য ও সুনামের সাথে ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করি। একটি কুচক্রি মহল দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের পরিবারের সুনাম ও ঐতিহ্য ক্ষুন্ন করতে নানামুখি ষড়যন্ত্র করে আসছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও এই অপচেষ্টা চালায়। আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা, ভিত্তিহীন, মনগড়া সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এস এম মোস্তাফিজুর রহমান (মাসুম)
বাদলপাড়া, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল।
Post a Comment