বিনোদন ডেক্স--
বিশ্বে এমন কেউ নেই যে মিয়া খলিফাকে চেনেন না। মিয়া খলিফা একটি পরিচিত নাম। পর্ন জগতে অন্যতম ভূমিকা রেখেছেন মিয়া খলিফা নামে এই নায়িকা।
কেউ যদি বলেন মিয়া খলিফা নামটির সঙ্গে তিনি পরিচিত নন, তাহলে হয় তিনি মিথ্যা বলছেন, নতুবা তিনি ইচ্ছে করেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
একটি ওয়েবসাইট বলছে, মাত্র চার বছর আগেই এক নম্বর আকর্ষণীয় ব্যক্তির তালিকায় মিয়া খলিফার নাম উঠেছিল।
মিয়া খলিফা লেবাননের বৈরুতে জন্মগ্রহণ করেন। পরে তাঁর পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায়। তাঁর আসল নাম মিয়া কালিস্তা, পরে তিনি এ নাম পরিবর্তন করেন।
পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে যাওয়ার পর পরিবারের লোকজন তাঁর সঙ্গে কথাও বলেননি। মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মিয়া, কিন্তু পরে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। এতে মা-বাবা ও নিজ দেশের মানুষ তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হন।
মিয়া জানান, ২০১৫ সালের প্রথম দিকে একটি বিতর্কিত ভিডিও প্রকাশ করেই সবার চেনা হয়ে যান তিনি। মার্কিন পর্নস্টার মিয়া খলিফার বয়স তখন সবে ২১। মন দিয়ে স্নাতক পড়ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিজেকে গুটিয়ে রাখতেন ক্যাম্পাস জীবনে।
একদিন একটি স্থানীয় ফাস্ট ফুড রেঁস্তোরায় কাজ করার সময় একজন ভোক্তার সান্নিধ্যে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, তিনি পর্নোচলচ্চিত্রে কাজ করতে আগ্রহী কি না। এরপর ২০১৫ সালের হিসেবে ১.৫ মিলিয়নেরও অধিক দর্শকসংখ্যার পাশাপাশি, ২২ বছর বয়সী খলিফা প্রাপ্তবয়স্ক ভিডিও শেয়ারিং পর্নহাবের সর্বাধিক অনুসন্ধানকৃত মডেল হিসেবে উন্নীত হন।
সে বছর ২৮ ডিসেম্বরে পর্নহাব তাদের ওয়েবসাইটে নাম্বার ১ স্থানে খলিফার নাম প্রকাশ করে বহুদর্শী লিসা অ্যানের পরিবর্তে। সম্প্রতি তার এ খ্যাতি মধ্য প্রাচ্যের জনমনে কঠিন সমালোচনার অবতারণা করে, যেখানে লজ্জাকর হিসেবে তার পেশাজীবন কলঙ্কময় বলে মনে করা হয় এবং যে কারণে নিজ দেশেও খলিফার সম্মানহানি ঘটে।মিয়া খলিফা বলেন, প্রথমদিন পর্ন অভিনয় করার পর একই সঙ্গে লজ্জা ও অপরাধবোধ কাজ করছিল। একই সঙ্গে মনে হচ্ছিলো আমি ঠিক করেছি। তখন আমি আসলে ২১ বছর বয়সী একটা গাধা ছিলাম।
ইউটিউবে জনপ্রিয় পডকাস্ট ‘ফরওয়ার্ড’ এর উপস্থাপক ল্যান্স আর্মস্ট্রংকে এসব কথা জানিয়েছেন লেবানিজ বংশোদ্ভূত মার্কিন পর্নস্টার মিয়া খলিফা।
তিনি জানান, প্রথম দিন অভিনয়ের পর খুব বেশি বিচলিত হননি। ভেবেছিলেন কোম্পানির বাইরে কেউ তার পর্নগুলো খুঁজে পাবে না। কিন্তু পরে হঠাৎ চারদিক থেকে সাড়া হয়ে ভটকে যান।
মিয়া খলিফা জানান, তিনি এমনটা ভেবেছিলেন কারণ সে সময় পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্টই ছিল না তার।
পর্নহাবে শীর্ষস্থান অধিকারের পরপর অনলাইন মৃত্যু হুমকি পান মিয়া, যার মধ্যে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্টের একটি হস্তনির্মিত ছবিতে তাকে শিরচ্ছেদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে এমন দেখানো হয় এবং একটি সতর্কবার্তায় তাকে নরকে যেতে হবে বলেও দাবি জানানো হয়, যার জবাব তিনি বলেন, ‘আমি সম্প্রতি একটু চিন্তিত।’ লেবানিজ সংবাদপত্র খলিফার সমালোচনামূলক নিবন্ধ লিখেছে, যা তিনি সে অঞ্চলের অন্যান্য ঘটনাগুলির কারণে তুচ্ছ বলে মনে করেন।দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে, খলিফা বলেন বিতর্কিত দৃশ্যটি ছিল বিদ্রুপাত্মক এবং এটি সেভাবেই গ্রহণ করা উচিত, এবং হলিউড চলচ্চিত্রে যে কোনো পর্নগ্রাফির তুলনায় অনেক বেশি নেতিবাচক ভাবে ইসলামকে চিত্রিত করা হয়ে থাকে বলে দাবি করেন। যার এহেন কর্মকান্ডে তার বাবা তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেন।খলিফা বলেন, এককালে লেবানীজ জাতি নিজেদের মধ্যপ্রাচ্যের সর্বাধুনিক বলে গর্ব করত, তারা পাশ্চাত্য রীতিনীতি এতটাই অনুকরণ করত যে তারা নিজেদের নিয়ে গর্বিত ছিল, আজ তারা আদিম রীতিতে বিশ্বাসিত হয়ে শোষিত হয়ে গেছে। তারা ভুলে গেছে নারী অধিকার!
Post a Comment