আজকাল বার্তা ডেক্স---
শিশুর হাত টিনে কেটে যাওয়ায় চিকিৎসা নিতে যান বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। শিশুর কান্না থামাতে গিয়ে গালে থাপ্পর বসিয়ে দেন নার্স সুমন। তিনি দাবী করে তাকে ইচ্ছে করে মারেনি।
তার হাত বেশি কেটে যাওয়ায় সেলাই দেওয়ার দরকার জরুরি। কিন্তু শিশুটি কিছুতেই সেলাই করতে দিচ্ছিলো না। পরে তাকে শান্ত করতে গিয়ে থাপ্পর দেয়া হয়। ঘটনাসুত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স সুমনের কর্তৃক চিকিৎসা নিতে যাওয়া এক শিশুকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় আহতর স্বজনরা শনিবার (০৮ অক্টোবর) বাবুগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান। তিনি জানান, রোগী মারধরের অভিযোগে থানায় একটি ডায়েরি হয়েছে। আমরা অভিযোগ তদন্ত করে দেখছি।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, ঘটনার পরপরই তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া এখনও কেউ লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জেনেছি এমন একটি অভিযোগ। এজন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই নার্সের বিরুদ্ধে সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতেরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আহতর মামি সাবেরা খাতুন বলেন, লামিয়া এতিম। ও আমার বাসায় থাকে। শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে বসে টিনে ওর হাত কেটে যায়। চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অপারেশন থিয়েটার রুমে দ্বায়িত্বরত নার্স সুমন কোন এ্যানেসথেসিয়া না দিয়ে ক্ষত স্থানে সেলাই করতে যায়। তখন লামিয়া কান্না করলে শিশুটিকে মারধর করেন। ওর গালে এখনও মারধরের ক্ষত স্পষ্ট।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুমন বলেন, আমি ইচ্ছা করে ওই শিশু রোগীকে থাপ্পড় মারিনি। মূলত তাকে শান্ত করতে চাচ্ছিলাম। তাছাড়া হাত বেশি কেটে যাওয়ায় রক্ত ঝরছিল। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা না গেলে আরও অসুস্থ হয়ে যেত।
Post a Comment