ভোলা প্রতিনিধি--
আল্লাহর কুদরত বোঝা বড় দায়। তার সৃষ্টির রহস্য আজ পর্যন্ত কেউ জানতে পারেনি। তেমনি এক অলৈাকিক ঘটনা ঘটে গেল ভোলায়। কোমড়ের দিক থেকে জোড়া লাগা এক শিশুর জন্ম দিয়েছে এক মা। গত ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার দিকে শহরের বন্ধন হেলথ্ কেয়ার এ- ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে মনি মুক্তা (২২) নামের এক নারী দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। মনি মুক্তা জেলার সদর উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর শশুড়বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায়। তাঁর স্বামী সাইফুল ইসলাম একটি বেসরকারি কোম্পানির সেলসম্যান।
মুক্তার স্বামী সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে তাঁর প্রসববেদনা উঠলে দ্রুত তাকে শহরের বন্ধন হেলথ্ কেয়ার এ- ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। দুপুর ১টার দিকে গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডাঃ জান্নাত ই আলমের অস্ত্রোপাচারের (সিজার) মাধ্যমে মনি মুক্তা জোড়া লাগানো যমজ দুই শিশুর জন্ম দেন। শিশু দুইটির কোমরের অংশে জোড়া লাগানো।
তবে তাঁর ৪ বছর বয়সী আরেকটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সেই সন্তানটি নরমাল ডেলিভারিতেই জন্মিয়েছিল।
অস্ত্রোপাচার করা চিকিৎসক ডাঃ জান্নাত ই আলম জানান, সাধারণত নারীদের গর্ভে সন্তানের অবস্থান কেমন। সেটা জানতে হলে ২৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা থাকাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে হয়। তাহলে বাচ্চা জোড়া লাগানো কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়। মনি মুক্তা যথাসময়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করেনি। তাঁর আল্ট্রাসনোগ্রামে বিলম্ব ছিল। যার ফলে তাঁর আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে যমজ শিশু থাকার বিষয়টি এসেছে। কিন্তু শিশু দুইটি যে জোড়া লাগানো তা আসেনি। এ চিকিৎসক আরো জানান, বর্তমানে নবজাতক দুইটি ও তাদের মা মনি মুক্তা বেশ সুস্থই আছেন।
জানতে চাইলে ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ কে এম শফিকুজ্জামান জানান, বিভিন্ন কারণে জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। মনি মুক্তার জন্ম দেয়া জোড়া লাগানো শিশু দুইটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হলে ভালো হবে।
Post a Comment