টিকার চেয়েও বেশি কাজের মায়ের দুধ

 

টিকার চেয়েও বেশি কাজের মায়ের দুধ

কিশোর-কিশোরীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু নবজাতকদের টিকা দিতে দেরি আছে। তাই তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় অনেক বাবা-মা। 

একেবারে ছোট শিশুদের কবে দেওয়া হবে করোনার টিকা? কবে তারা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি পাবে? এ নিয়ে চিন্তায় অনেক বাবা-মা। কিন্তু এর মধ্যেই আশার কথা শোনালো সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্র। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

টিকার চেয়েও সদ্যজাতদের জন্য বেশি কাজে লাগতে পারে মায়ের দুধ।  তেমনই বলা হয়েছে ‌‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন ইমুউনোলোজি’ নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে।
 গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা সদ্য মা হয়েছেন, এমন নারীদের নিয়ে গত দেড় বছর একটি সমীক্ষা চালিয়েছেন। তারই ফল প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্রে।

গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তারা এসব মায়ের দুধ পরীক্ষা করে দুটি জিনিস জানতে পেরেছেন। 

প্রথমত, কোভিডে সংক্রমিত হলেও মায়ের দুধে কোভিডের কোনো জীবাণু থাকে না। দ্বিতীয়ত, যে মা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তার দুধে কোভিডের সঙ্গে লড়াই করার অ্যান্টিবডি থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে। সদ্যজাত সেই অ্যান্টিবডি পেতে পারে মায়ের থেকেই।

আরও বড় কথা, এই অ্যান্টিবডি কোভিডের যে কোনো ধরনের রূপের সঙ্গে লড়াই করতে পারে, তাকে প্রতিহত করতে পারে। অর্থাৎ শুধু ডেল্টা বা করোনার অন্য রূপ নয়, সরাসরি ওমিক্রনকেও আটকে দিতে পারে এই অ্যান্টিবডি। এটি মায়ের শরীর থেকে সরাসরি শিশুর শরীরে পৌঁছে যেতে পারে দুধের মাধ্যমে। 

তাই বিজ্ঞানীদের দাবি, করোনাকালে সন্তানকে স্তন্যপান করানোর বিষয়ে মায়েরা যেন সচেতন থাকেন। স্তন্যপানে যেন গাফিলতি না হয়। 

তবে মায়ের ত্বক থেকে সন্তানের শরীরে কোভিডের জীবাণু যেতে পারে। তাই স্তন্যপান করানো মায়েদের পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে নজর রাখতে বলেছেন বিজ্ঞানীরা। কেননা সম্প্রতি সারাবিশ্বে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন।

 তার পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে সবাইকে। পাশাপাশি যা দের ছোট বাচ্চা রয়েছে তাদেরকে মায়ের দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকরা। কেননা এতে অতিরিক্ত পরিমানে এন্টিবডি রয়েছে। 

Post a Comment

Previous Post Next Post