মানুষের শরির নানা কারনে দূর্বল হয়ে পড়ে। কেউ জন্ম থেকে রোগাক্রান্ত । আবার কেউবা শারিরিক অক্ষমতা।একজন ব্যক্তির ইমিউনিটি সিস্টেম দুর্বল হওয়ার পিছনে রয়েছে কিছু গুরুতর সমস্যা। যেমন ধরুন-ধূমপান, অ্যালকোহল পান করা, দুর্বল পুষ্টি, মানসিক চাপ, স্থূলতা, বার্ধক্য, এইচআইভি, ডায়াবেটিস, ক্যানসার বা করোনাভাইরাসে মতো চিকিত্সা পরিস্থিতিতে বা স্টেরয়েড, কেমোথেরাপির মতো ওষুধ খেলে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়।
উদাহরন সরুপ শরিরের ইমিউনিটি ক্ষমতা কমে গেলে যা হয়-
ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা- প্রাপ্তবয়স্কদের বছরে ২ থেকে ৩বার সর্দি বা সংক্রমণজনিত রোগ বাধে। সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে আবার সেরেও ওঠে। এমনটা যদিও স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের মধ্যে বারবার ঠান্ডা লেগে সর্দি ও কাশি বেশি হয়।হজমের সমস্যা- অনেক বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে, বেশিরভাগ রোগের মূলে রয়েছে দুর্বল পাচনতন্ত্র। দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের লক্ষণ ও উপসর্গ এবং হজমের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ঘন ঘন ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফোলাভাব ইত্যাদি।
ক্ষত দেড়িতে শুকানো- ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হলে ক্ষত, প্রদাহ, আঘাত বা অস্ত্রোপচারের পরে শ্রতগুলি আরোগ্য হতে বেশি সময় নেয়। সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
ক্লান্তি বোধ করা- দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলে ক্লান্তি বোধ করা স্বাভাবিক। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া দরকার। তাদের চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া উচিত।
ত্বকের সংক্রমণ- ত্বক হল শরীরের একটি প্রাচীর। দুর্বল ইমিউন সিস্টেম ত্বকের বাধাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যার ফলে ঘন ঘন ত্বকে ফুসকুড়ি, জ্বালাভাব, সংক্রমণ বা শুষ্ক ত্বক হয়।
ব্লাড ক্যান্সার- কিছু রক্তের ব্যাধি দুর্বল ইমিউন সিস্টেমকে নির্দেশ করে, যেমন অ্যানিমিয়া, হিমোফিলিয়া (রক্তক্ষরণ ব্যাধি), রক্ত জমাট বাঁধা এবং রক্তের ক্যান্সার (লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা এবং মাইলোমা)।
শরির সবল করতে যা যা খেতে হবে==
প্রতিদিন কলা, ডিম, দুধ , পনির, শর্করা জাতীয় খাবার, মধু , কালোজিরা, সামুদ্রিক মাছ সহ নানা সবুজ সাকসবজি ও ফলমুল।
শরীরের টিস্যুতে যে কোন আঘাতের ফলে প্রদাহ হয় তা দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের লক্ষণ।
Post a Comment