বরিশালে ভেজাল প্রসাধনীর রমরমা বানিজ্য, ব্যবহারের হিড়িক

 এম সাইফুল ইসলাম ॥
প্রসাধনী
বরিশালে ভেজাল প্রসাধনীর চলছে রমরমা বানিজ্য। আর ক্রেতারাও হুমড়ি খেয়ে কিনছে এসব ক্ষতিকারক পন্য। চলছে ব্যবহারের মহাউৎসব। “ এক মাসেই ত্বক ফর্সা’ কিংবা ‘মেকআপ ছাড়াই সুন্দরী হোন’ এ স্লোগানকে পুজি করে নকল প্রসাধনী ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে নগরীর প্রসাধনী ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন মাধ্যমে দেয়া বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা দিচ্ছে নারীরা। তারা আসল নকল না চিনে ব্যবহার করছে নামে বেনামে ক্ষতিকারক প্রসাধনী সামগ্রী। এভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে দেদারসে বিক্রি করা হচ্ছে ‘ত্বক ফর্সাকারী’ প্রসাধনী। আর এসব ভেজাল প্রসাধনী পন্য নগরীর বস্তি ও গ্রাম এলাকাগুলোতে দেদারসে বিক্রি করা হয়। সরেজমিনে খোজ নিয়ে দেখা গেছে নগরীর সদর রোড , গির্জামহল্লা ,কাটপট্টি চকবাজার  সহ কসমেটিক দোকান গুলোতে নারীদের উপচে পড়া ভিড়। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন অলিগলির দোকানগুলোত আছেই। কিন্তু তারা জানে না এসব ক্রিমে ব্যবহার করা হয় এমন সব উপাদান যাতে ক্যান্সার অনিবার্য।  কোন রকম বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়াই চলছে এসব পন্যের বাজারজাত। এদিকে নগরীর ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রীর পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রিমের মধ্যে নেভিয়া লোশন, ডাভ লোশন, লাঙ্ লোশন, মাস্ক লোশন, অ্যাকুয়া মেরিল লোশন, ভেটনোভেট এন ক্রিম, ইন্ডিয়ান গরিও ক্রিম, ফেডআউট ক্রিম, ওলে ক্রিম, গার্নিয়ার লোশন, জার্জিনস লোশনের নকল পণ্য তৈরি করা হচ্ছে।  নকল পারফিউমে সোডা-ফিটকিরির সঙ্গে নানা ধরনের সুগন্ধি মিশিয়ে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। নকল শ্যাম্পুতে ব্যবহৃত হচ্ছে নিম্নমানের সাবানপানি ও সুগন্ধযুক্ত ডিশওয়াশ পাউডার। নিচু মানের টুথ পাউডারের ম- তৈরি করে তা ঢোকানো হচ্ছে নামিদামি ব্র্যান্ডের টুথপেস্ট টিউবে।  মাঝে মধ্যে বিএসটিআইর ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হলেও প্রতিনিয়ত অভিযান না থাকার ফলে ক্ষতিরমূখে ধাবিত হচ্ছে নগরীর নারীরা ।  বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা জানায়, এসব রং ফর্সাকারী পন্য মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে কিডনি নষ্ট, গর্ভবতী নারীদের গর্ভের সন্তান ধারনের ক্ষমতা লোপ পায়। তাছাড়া হাত-পা অবশ হওয়া, স্নায়ুবিক সমস্যা, চামড়া বিবর্ণ ও রেশ সৃষ্টি হওয়া। তাই এসব পন্য যাতে বাজারে যেতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী কামনা করছে সাধারন মানুষ । 

Post a Comment

Previous Post Next Post