বরিশালে মাইক্রোবাস যখন এ্যামবুলেন্স


রিপোর্ট- এম সাইফুল
ambulance
ambulance
বরিশালে ব্যাঙের ছাতার মত বৃদ্দি পাচ্ছে রোগী বহনকারী অ্যামবুলেন্স। যা চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় প্রতিনিয়িত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আশা রোগীরা। আর লক্করযক্কর মাইক্রোবাস দিয়ে বানিয়ে ফেলা হচ্ছে এ্যামবুলেন্স। কেননা বর্তমানে এই ব্যবসাটা খুব লাভবান বলে দাবী করছেন রেন্ট একার ব্যবসায়ীরা। তারা তাদের পুরোনো গাড়িগুলোকে এ্যামবুলেন্স আকারে বানিয়ে রোগী আনা নেয়ার কাজে ব্যবহার করছে। যার অনেকটা ফীটনেস বীহিন।   হতদরিদ্র মানুষের জন্য একমাত্র ভরসা হচ্ছে দক্ষিনবঙ্গের একমাত্র সরকারী হাসাপাতাল শের-ই বাংলা হাসপাতাল। আর এই সরলতার সুযোগ নিচ্ছে বেশকিছু মাইক্রোবাস মালিকরা। তারা মাইক্রোবাসকে এ্যামবুলেন্স রুপে তৈরি করে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেবা পাওয়ার চাইতে হররানী ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে রোগীরা। অধিক হারে এ্যামবুলেন্স হওয়ায় রোগীদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালে সর্বক্ষনই প্রায় ২০/২৫ টি এ্যামবুলেন্স ঘাপটি দিয়ে বসে থাকে। যারা বেশিরভাগই অনুমোদনহীন। হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ বারবার নোটিশ দেওয়া সত্তেও রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ এ্যামবুলেন্সের রমরমা ব্যবসা। কেননা রোগীদের প্রতারনার মাধম্যে তাদের কাছে থেকে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এদিকে শেবাচিম হাসপাতাল ছাড়াও বরিশাল নগরীর বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল,ক্লিনিকের সম্মুখে অত পেতে থাকে এ্যামবুলেন্স চালকরা। রোগী রিলিজ হওয়ার সাথে সাথে তাদের কাছে এসে বিভিন্ন ভঙ্গিতে তাদের মধ্যে রপদফা হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় ভোগান্তির নতুন দৃশ্য । ভাড়া চুক্তি থাকা সত্তেও সড়কপথে রোগীদের টোল,ফেরি বাবদ বাড়তি টাকা গুনতে হয় বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।  এ ব্যপারে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক এ্যামবুলেন্স চালক জানান, জিবীকার তাগিদে এ পেশা বেছে নিয়েছি। তাছাড়া বর্তমানে এটা একটা ভালো ব্যবসা। দিন দিন রোগীর পরিমান যত বৃদ্দি পাচ্ছে তেমনি আমাদের গাড়ির সংখ্যাও বৃদ্দি পাচ্ছে। অনুমোদহীন এসব গাড়ি রাস্তায় নামালে প্রশাসন কিছু বলে না প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, রোগীরদের দোহাই দিয়ে পাড় পেয়ে যাচ্ছি । কেননা যখন গাড়িতে রোগী থাকে তখন কেউ সহজে গাড়ি গতিপথ রোধ করে না। এভাবে দিনের পর দিন এসব নামে-বেনামে অবৈধ এ্যামবুলেন্সের সংখ্যা বৃদ্দি পেলেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না প্রশাসন বিভাগ। এ ব্যপারে জানতে চাইলে ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তা  জানান, এ্যামবুলেন্স চালকরা যখন রোগী নিয়ে সড়ক দিয়ে যায় তখন তেমন চেক করার সুযোগ পাইনা। কেননা মানবতার দিক বিবেচনা করে তাদের ছেড়ে দেই কারন রোগীর জীবন আগে। আমাদের ট্রাফিক বিভাগ শিগ্রই এদের রুখতে পদক্ষেপ গ্রহন করবে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে এসব এ্যামবুলেন্সকে অপব্যবহার করছে জানিয়েছে একটি সূত্র্।নানা ধরনের অবৈধ কাজের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ।  অনেক কিছু পাচার হতে পারে বলে  মনে করছেন সচেতন মহল। তাই রাস্তায় রোগী বহনকারী এ্যামবুলেন্স চেকিং সহ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে বরিশাল বাসী ও সচেতন মহল।

Post a Comment

Previous Post Next Post