নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হলেন বিসিসি ১১ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ মজিবর রহমান।
তিনি এই ওয়ার্ডে পরপর তিন বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। গত ১২ ই জুন তার বরাদ্দকৃত প্রতীক ছিল ঠেলাগাড়ি। সকলের ভালবাসা ও নিজের কর্মদক্ষতায় আবারও কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ড বঙ্গবন্ধু কলোনীর বাসিন্দা মোঃ ফারুক হাওলাদার জানান, গত দুবার আমাদের এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ছিলেন জনাব মজিবর রহমান। তিনি আমাদের এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারী মাধ্যমে এলাকাবাসীকে সাহায্য করে গেছেন। তাই আমরা এলাকাবাসী তাকে ভালবেসে তৃতীয় বারের মত আবারও নির্বাচিত করেছি।
এদিকে বিজয়ী কাউন্সিলর মজিবর রহমানের বিপরীতে ছিলেন টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকের প্রার্থী মারুফ আহমেদ জিয়া। ১১ নং ওয়ার্ডে মোট চারটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহন চলে। তার মধ্যে রয়েছে ব্যাপ্টিষ্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়,ব্যাপ্টিষ্ট মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শহিদ আলতাফ স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বাংলাবাজার আল-ফারুক একাডেমি।
চারটি কেন্দ্রে ঠেলাগাড়ি প্রতীকের মোট ভোট পায় ২ হাজার ২শত ৬১ । ৩ টি কেন্দ্রে জয়যুক্ত হন মজিবর রহমান। একটি কেন্দ্রে মাত্র ৫৫ ভোটে মজিবরকে পরাজিত করেন টিফিন ক্যারিয়ার মার্কার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী মারুফ আহমেদ জিয়া।
সব মিলিয়ে ভোটের ব্যবধান বেশি হওয়ায় তৃতীয়বারের মত নির্বাচিত হন মোঃ মজিবর রহমান। নির্বাচিত হবার পরপরই পুরো ওয়ার্ডে বিজয় মিছিলে অংশ নেন হাজার হাজার কর্মী সমর্থকরা। বাঁধভাঙ্গা উল্লাসে অংশ নেন নারীরাও। তারা বলেন আমাদের প্রিয় মজিবর ভাইকে আবারও আমাদের মাঝে ফিরে পেয়েছি। যাকে ডাকলেই কোন কারন ছাড়াই সাড়া পাওয়া যায় সে আবারও বিজয়ী হওয়ায় খুব আনন্দ লাগছে বলে মন্তব্য করেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে তৃতীবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর মোঃ মজিবর রহমান জানান, প্রথমে মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করছি। এরপর তিনি ওয়ার্ডবাসীর প্রশংসা করতে গিয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন ১১ নং ওয়ার্ডবাসী আমাকে খুব ভালবাসে।
তাদের ভালবাসায় আমি তৃতীয় বারের মত আবারও কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছি। আমি বঙ্গবন্ধু কলোনীবাসীর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আমাকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌছে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু কলোনীর যুব সমাজ ও মহিলারা অনেক পরিশ্রম করেছেন।
তারা ভালবাসে বলেই আমি নির্বাচিত হতে পেরেছি। বিরোধী পক্ষের সকল ষড়যন্ত্র, হুমকি ও নানা অভিযোগের মুখেও ওয়ার্ডবাসী আমাকে ভালবেসে ভোট দিয়েছে। আগামী দিনে আমি সর্বদা ওয়ার্ডবাসীর পাশে আছি। এছাড়া আমার এলাকায় যেসব উন্নয়ন এখন সম্পন্ন হয়নি সেগুলো খুব শিগ্রই মেয়র মহোদয়ের সাহায্য নিয়ে সম্পন্ন করবো।
Post a Comment