সংবাদ শিরোনাম

রাজাপুরে অপহরণের ৫ বছর পর যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার

 অনলাইন ডেক্স----


মাদক ব্যবসায় বিরোধের জের ধরে ব্যবসায়ী অপহরন। তারপর হত্যার পরে লাশ পার্শবর্তী মাটি খুড়ে চাপা দিয়ে রাখে পাচ বছর যাবৎ। অপহরনের ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন কে আটক করে। 

পরে তার শিকারউক্তি অনুযায়ী কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনাসূত্রে জানা গেছে,  ঝালকাঠির রাজাপুরে অপহরণের ৫ বছর পর মীর খায়রুল নামে এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। 

গত বুধবার দুপুরে রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কানুদাসকাঠি গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মসজিদের পাশে কবরস্থানের মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাটি খুঁড়ে খায়রুলের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।

খুন হওয়া মীর খায়রুল রাজাপুর শহরের বাইপাস মোড় এলাকার আনছার মীরের ছেলে। তিনি রাজাপুর বাইপাস এলাকায় একটি পরিবহনের কাউন্টারের ব্যবসা করতেন। 

গত বুধবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠি সিআইডি কার্যালয়ে সহকারী পুলিশ সুপার এহসানুল হক সাংবাদিকদের জানান, ২০১৭ সাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন মীর খায়রুল। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে গত সোমবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিজু নামে মামলার এক সাক্ষীকে সিআইডি কার্যালয়ে আনা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পূর্ব কানুদাসকাঠি গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে মাটি খুঁড়ে খায়রুলের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। 

সিআইডি আরও জানায়, ২০১৭ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে মীর খায়রুলকে অপহরণ করে এই মামলার আসামি মনিরের বাড়িতে নিয়ে খুন করে লাশ বাড়ির পাশে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। 

আর এ কাজে জড়িত ছিল কানুদাসকাঠি এলাকার ফোরকান, সোহাগ, মনির ও গিয়াস নামের চারজন। পরবর্তীতে ওই স্থান থেকে লাশটি পূর্ব কানুদাসকাঠি গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মসজিদের পাশে কবরস্থানের স্থানান্তরের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় মিজান হাওলাদার মিজু নামের এক ব্যক্তিকে।

এ ঘটনায় খুন হওয়া খায়রুলের ছোটভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা পলাতক রয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post