মনির হোসেন,মোংলাঃ
অপার সম্ভাবনার মোংলা ইপিজেড |
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও অবদান রাখছে মোংলা ইপিজেড। এ ইপিজেডের উন্নয়নের সাথে সাথে বাড়ছে কর্মসংস্থানের পরিধি। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় গত সাড়ে ১০ বছরে এ প্রতিষ্ঠানটির অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এখানে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমান বেড়েছে। ইপিজেডের উন্নতির কারনে এখানে উৎপাদিত বেশির ভাগ পণ্য দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলা থেকে রপ্তানি করা হচ্ছে। ইপিজেডের কারনে মোংলা বন্দর আরো গতিশীল হয়েছে।
জানা গেছে,মোংলা ইপিজেডে সাড়ে ১০ বছরে ১৬ গুন রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনিয়োগেরর পরিমান আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ৫ হাজার মানুষের। বিগত সাড়ে ১০ বছরে আমুল পরিবর্তন হয়েছে মোংলা ইপিজেডের।মোংলা ইপিজেড কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়া অঞ্চল (বেপজা) সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে ১৯৯৮ সালে ২৮৯ একর জমির উপর মংলা ইপিজেড গড়ে তোলা হয়। এরপর বিগত দশ বছরে এ ইপিজেডের আমুল পরিবর্তন হয়েছে। ইপিজেডের কারণেই মোংলা বন্দর সচল হয়েছে। ইপিজেডের ১৯২ টি শিল্প প্লটের মধ্যে ১৬৫ টি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে ১২৮টি কারখানা বর্তমানে চালু আছে। আরো বেশ কিছু কারখানা চালু হওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইপিজেডে বর্তমানে ৫ হাজার নারী-পুরুষ কর্মরত আছেন। ২০০৮ সালে মোংলা ইপিজেডে বিনিয়োগ হয়েছিলো ৪৫ কোটি টাকা, আর ২০১৮ সালে বিনিয়োগ হয়েছে ৫১০ কোটি টাকা। বিগত সাড়ে দশ বছরে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ গুন। ২০০৮ সালে ইপিজেড থেকে রপ্তানি হয়েছিলো ২৯৫ কোটি টাকার পণ্য। ২০১৮ সালে ৪ হাজার ৭০৫ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানী হয়েছে। রপ্তানি বৃদ্ধির হার বেড়ে এখন ১৬ গুনে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, আগে মোংলা এলাকার অর্থনীতি ছিল কৃষি (ধান) ও মাছ নির্ভর। সেই কৃষি নির্ভর মানুষেরা এখন ইপিজেডে টয়োটা গাড়ীর হিটিং প্যাড, ভিআইপি লাগেজ ব্যাগ, নর্থ আমেরিকার টাওয়েল, ফ্যাশন উইক, পাটজাত পণ্য, সুপারি পণ্য, মার্বেল পাথর সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত আছেন। এসব পণ্য ভারত, চীন জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ইতালি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, মোংলা বন্দরের আশেপাশে যাতে শিল্পায়ন হয়, বন্দর যাতে গতিশীল হয় সেই বিবেচনায় ১৯৯৮ সালে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মংলা ইপিজেডের কার্যক্রম শুরু করেন। ২০০১ সাল বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইপিজেড ও বন্দর অচল হয়ে যায়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আবারো ইপিজেড এবং বন্দর সচল হয়। এখন ৪/৫ হাজার নারী শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে এ ইপিজেডে। এই অঞ্চলের জন্য ইপিজেড অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে এ অঞ্চল আলোকিত হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মোংলা ইপিজেড সৃষ্টি করা হয়েছিল মোংলা বন্দর সচল করার জন্যই। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করে ইপিজেড প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ইপিজেডের সম্পূর্ণ জমিতে শিল্প কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। ইপিজেডে ব্যাপক শিল্পায়ন হয়েছে। কাঁচামাল মোংলা বন্দর দিয়ে আনা-নেয়া হচ্ছে। এর ফলে মোংলা বন্দরের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।
মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী ও নূর মোহাম্মদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ এম দুলাল বলেন, ইপিজেডে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ইপিজেডের কারণে মোংলা বন্দরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মোংলা ইপিজেড সৃষ্টি করা হয়েছিল মোংলা বন্দর সচল করার জন্যই। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করে ইপিজেড প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ইপিজেডের সম্পূর্ণ জমিতে শিল্প কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। ইপিজেডে ব্যাপক শিল্পায়ন হয়েছে। কাঁচামাল মোংলা বন্দর দিয়ে আনা-নেয়া হচ্ছে। এর ফলে মোংলা বন্দরের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।
মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী ও নূর মোহাম্মদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ এম দুলাল বলেন, ইপিজেডে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ইপিজেডের কারণে মোংলা বন্দরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।