সময়ের বরিশাল ডেক্স---
বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন লুৎফুর রহমান মডেল (ক্যাডেট) মাদরাসায় হেফজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে (১০) ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হাফেজ মাহমুদুল হাসান কতৃক বলৎকার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
স্থানীয়দের অভিযোগ এবং মাদরাসার বিষস্থ সূত্র জানায়- গত বুধবার (২৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে ঐ শিক্ষার্থীকে মাদরাসার নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তার হাত ও মুখ চেপে ধরে বেশ কয়েকবার পালাক্রমে বলাৎকার করে ।
কিন্তু মাদরাসা কতৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পারলেও তারা কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে উল্টো বৃহস্পতিবার দিন সকালে শিক্ষার্থীর বাবা মাদরাসায় ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করে। অভিযোগ রয়েছে মাদরাসা কতৃপক্ষ লক্ষাদিক টাকায় রফাদফা করে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহামুদুল হাসানকে কোন প্রকার আইনি ব্যাবস্থা না নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালেই তাকে বহিস্কারের নামে দায় এরায় মাদরাসা কতৃপক্ষ। তবে এধরনের ঘটনায় কেন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্বে কোন আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হলোনা। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সচতন নগরবাসী।
বিষয়টি নিয়ে লুৎফুর রহমান মডেল (ক্যাডেট) মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ. কে. এম সুলতান বলেন- ভাই মাদরাসার কথা চিন্তা করে এই শিক্ষকের বিরুদ্বে কোন আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি। অপরদিকে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা ইউসুফ হোসেনের সাথে কথা বল্লে তিনি জানান তদন্ত চলমান। তবে কেন ঐ শিক্ষকের ব্যাপারে প্রশাসনিক কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি জানতে চাইলে তিনি কোন সদ-উত্তর দিতে পারেনি।
এ দিকে বিষয়টি নিয়ে এয়ারপোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) এ.আর. মুকুল’র সাথে কথা বললে তিনি বলেন- ঘটনাটি অতি নিন্দনীয়। মাদরাসা কতৃপক্ষ কখনোই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেনা। তাদের উচিৎ ছিলো অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মাহমুদুল হাসানকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া। আমি যেহেতু ঘটনাটি শুনেছি। সুনিদৃষ্ট কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: ফরিদ আহমেদ বলেন- আমিও এমন একটি ঘটনা শুনেছি। তবে আমি বুঝতে পারছিনা যে, কেন মাদরাসা কতৃপক্ষ লম্পট ঐ শিক্ষকের বিরুদ্বে কোন প্রশাসনিক ব্যাবস্থা না নিয়ে বরখাস্থ করলো। আমি এর যথাযথ বিচার দাবী করছি।
সূত্র--বরিশাল বাণী
সূত্র--বরিশাল বাণী