অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে নিয়মিত মনিটরিং না থাকার কারণেই কিছু অসাধু মাছ বিক্রেতা নিষিদ্ধ মাছটি বিক্রি করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, পিনারহা নামের এ ভিন দেশি মাছটি অনেক আগেই আমাদের দেশে এসেছে। মাছটি আমাদের দেশীয় মাছ ও অন্যান্য জলজ জীবকুলের জন্য বিপদজনক, এটি জলজ পরিবেশের সবকিছু খেয়ে উজাড় করে দিতে সক্ষম। তাই সরকার এ মাছটির প্রজনন, চাষ, ক্রয়, বিক্রয় নিষিদ্ধ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কালাইয়া বন্দর মাছের বাজারে মাছের ঢালা পেতে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে নিষিদ্ধ পিনারহা মাছ। ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের চাইনিজ রুপচাঁদা বলে একশো পঞ্চাশ থেকে দুইশো টাকা দরে বিক্রি করছেন। দেখতে আকর্ষনীয় ও দাম সস্তা হওয়ায় ক্রেতারা মাছটি কিনে নিচ্ছেন। কাসেম নামের এক মাছ বিক্রেতাকে পিনারহা মাছ কোথায় পেয়েছেন, এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বাউফল থেকে কিনেছি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, স্বপন নামের এক মাছ ব্যবসায়ী ঢাকা বরিশাল থেকে মাছটি কিনে এনে বাউফলের হাটবাজরে পাইকারী দরে বিক্রি করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বাউফল পৌর শহরের বাজারসহ প্রায় সকল বাজারেই বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিনারহা মাছটি।
মাছ চাষী সাইফুল ইসলাম রিপন বলেন, এটা দেশের মৎস্য ভান্ডারের জন্য সু:সংবাদ। আমি আশা করবো দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্টগণ এ বিষয়ে ব্যবস্হা নিবেন।
বাউফল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ জসিম উদ্দিন মনিটরিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা এ বিষয়ে সচেষ্ট, এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা ইমদাদ উল্লাহ্ বলেন, আমি নিজে এর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট করবো। আর বাউফল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে বলে দিছি সে যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করেন।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিনারহা মাছ। সরকারর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাক্ষুসে এ মাছটি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হলেও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিষয়টি জানেনা।