সংবাদ শিরোনাম

সাপের কামড়ে অপচিকিৎসায় বাড়ছে বিপদ, অসচতনতার অভাব

ফটিকছড়ি উপজেলার এক তরুণী সাপে কামড়ে আক্রান্ত হন। পরে যান এক সাপুরের কাছে। সাপুরে ব্লেড দিয়ে কেটে বিষ নামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়। পরে সাপের বিষ বৃদ্ধি পাওয়ায় নিরুপায় হয়ে আসেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ১৬ নং ওয়ার্ডে। ততক্ষণে তরুণীর অবস্থা বেহাল হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা দিলে সুস্থ হন ওই তরুণী।

এভাবে সাপে কামড়ে অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন রোগীরা। বিষ কমার বিপরীতে উল্টো পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।   

চমেক হাসপাতালের ১৬ নং ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. মোস্তফা আরাফাত ইসলাম  বলেন, সাপে কাটার রোগীর কোনো মতেই সাপুড়ে, ওঝা বা ঝাড় ফুঁকের কাছে গিয়ে অপচিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত নয়। যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে আসাই শ্রেয়। ওই তরুণীকে সাপুড়ে বেøড দিয়ে কেটে অবস্থা আরও খারাপ করে দেয়। তিনি বলেন, সাপে কামড় দিলে নড়াচড়া না করে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। তাছাড়া, চিকিৎসক দেখার আগ পর্যন্ত কিছু না খাওয়া, মলম বা মালিশ না লাগানো উচিত। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সাপে কামড়ে রোগী সুস্থ হয়ে যায়।     

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সাপ সাধারণত ভিতু। সাপ এমনিতে মানুষকে আক্রমণ করবে না। মানুষ শব্দ করে হাঁটলে, লাঠি বা কোন কিছুর আওয়াজ শুনলে সে বুঝে পালাতে চেষ্টা করে। তখন তাকে চলে যেতে দিতে হবে। সাপের সঙ্গে কাবাডি খেলার চেষ্টা না করাই ভাল। সাপ থাকলে চলে যাবে। রাতে বিছানা, এমনকি বালিশের তলাও চেক করা ভাল। আলনার ভেতরেও থাকতে পারে। শব্দ করে কাপড় নিলে সে নিজেই চলে যাবে। বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড় থাকলে কেটে পরিস্কার রাখা উচিত। তাছাড়া ঈদুরের গর্ত থাকলে ভরাট করা উচিত।

সাপ কাটলে কি করণীয়

বেশিরভাগ সাপই নির্বিষ। আবার অনেক বিষাক্ত সাপের কামড়ে বিষ থাকে না। সাপে কাটার সঙ্গে সঙ্গেই বিষক্রিয়ায় মারা যাওয়ার সম্ভাবনা কম। সাপেকাটা জায়গা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ব্লেড দিয়ে কাটা ও চুষে রক্ত বের করা নিষেধ। কোনো ফলের বীজ, সর্পরাজ তেল, গুটি, আটি, বড়ি, তাবিজ কিছুই লাগাতে হবে না। যেখানে কামড়াবে সেখানকার নাড়াচাড়া বন্ধ রাখতে হবে। 

Post a Comment

Previous Post Next Post