সংবাদ শিরোনাম

ব্যস্ততা বাড়ছে লেপ-তোষকের কারিগরদের



শীতের আগমনী বার্তায় লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছে ধনুকররা। গ্রামীন জনপদে বিরাজ করছে হিমহিম আমেজ। সকাল এবং সন্ধ্যায় দৃষ্টিসীমা হরণ করছে কুয়াশায়। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে, সন্ধ্যা হলে কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে এখানকার জনপদ। (লেপ তোষকের দোকানে উপচে পড়া ভিড়)

রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে হাল্কা শীত পড়ায় ফ্যানের কদর কমে বাড়িতে শুরু করেছে হাল্কা কাঁথা, কম্বল ও চাদরের। ফলে বেরিয়ে পড়ছে তুলে রাখা কাঁথা, কম্বল, সুয়েটার, মাফলার, লেপসহ শীত নিবারণের সকল বস্ত্র। সেই সাথে মানুষ ভিড় জমাচ্ছে ধনুকরদের দোকানে লেপ-তোষক তৈরী করে নিতে।

 আর গ্রাহকের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছে এখানকার ধনুকররা। বরিশালে ইতিমধ্যে লেপ তোষকের দোকানে ভিড় জমে গেছে। অনেক লেপ এবং তোশকের অর্ডার পড়ছে। সাথে রয়েছে শিমুল তুলার বালিশ। ( বাংলাদেশের তুলা ব্যবসায়ীরা তুলা দাম বেশি নেওয়ায় হিম সিম খাচ্ছে দোকানিরা)

আরমান বোডিং ষ্টোরের কাপড় ব্যবসায়ী আরমান খাঁন জানান, এবারে শীতের তীব্রতা বাড়বে আশঙ্কায় লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এখানে প্রতিটি লেপ তুলার রকম ভেদে ১ হাজার ৫শ থেকে ৩ হাজার টাকায় এবং তোষক ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

কাপড় ব্যবসায়ী  রুস্তম খাঁন বলেন,জেলায় শীতের আগমনী বার্তা এসে পড়ায় মানুষ আগাম লেপ-তোষক তৈরীতে ঝুকে পড়েছেন। তাই লেপ-তোষকের কাপড় ও তুলার ব্যবসা বর্তমানে জমে উঠেছে। ধনুকর কাশেম মিয়া,জামাল আলী,রতন সরদার জানান, আমরা প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৭টি লেপ ওতোষক তৈরী করে ১হাজার থেকে ১হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত রোজকার করতে পারি। 

Post a Comment

Previous Post Next Post