রাজশাহীতে পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ায় গুরুতর আহত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইফতেখার আল-আমিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতেই তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।এদিকে, স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে আসামি হয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী রুপসী দেওয়ান। শ্বশুর আতিকুর রহমানের দায়ের করা মামলায় শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে তাকে জেলহাজতে পাঠায় বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এই মামলা দায়ের হয়।পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় তার ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন এসআই ইফতেখার আল-আমিন। ওই সময় তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেন স্ত্রী।
তখনই থানায় ফোন দেন ওই এসআই। পরে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়। জরুরি অস্ত্রপচারের পরও তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
স্ত্রী রুপসী দেওয়ানের অভিযোগ, ইফতেখার আল-আমিন একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় যুক্ত। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিল। এরই জেরে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।বষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন। ওসি গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার পর ওই এসআইয়ের স্ত্রীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
স্বামীর পরকীয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে তিনি পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। পরে বাসার ময়লার ঝুড়ি থেকে খণ্ডিত পুরষাঙ্গ বের করে দেন।
ওসি আরও জানান, এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এসআই ইফতেখার আল-আমিনের বাবা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। ওই মামলায় শুক্রবার সকালে আসামি রুপসী দেওয়ানকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস গণমাধ্যমকে জানান, অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই এসআই ইফতেখার আল-আমিনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
Post a Comment